Importance Of Digital Content
|

ডিজিটাল কনটেন্ট কি? ডিজিটাল কনটেন্ট এর গুরুত্ব

ডিজিটাল কনটেন্ট কি? ডিজিটাল কনটেন্ট এর গুরুত্ব এই প্রশ্নটি কমবেশী প্রত্যকের মনে এসেছে। কেননা বর্তমান সময়ে ডিজিটাল কনটেন্ট এর চাহিদা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। ডিজিটাল কনটেন্ট হলো এমন এক ধরনের কনটেন্ট যা ইন্টারনেটে সংরক্ষিত সমস্ত সামগ্রী যা কি না ব্যবহারকারীর সমস্ত তথ্য। ডিজিটাল কনটেন্ট সেটা হতে পারে কোন টেক্সট কনটেন্ট, ইমেজ বা পিকচার কনটেন্ট, ভিডিও কনটেন্ট, পিপিটি কনটেন্ট অথবা ডকস ফাইল ইত্যাদি। আজকের এই পোস্টটি ডিজিটাল কনটেন্ট কি? ডিজিটাল কনটেন্ট এর গুরুত্ব এই বিষয়গুলোই নিয়েই সাজানো হয়েছে তাই এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ার অনুরোধ রইল। 

ডিজিটাল কনটেন্ট কি?

ডিজিটাল কনটেন্ট হলো কোন একটি বিষয়ের উপর তথ্য তুলে ধরার ডিজিটাল মাধ্যম বা প্রক্রিয়া। ডিজিটাল কনটেন্ট বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। ডিজিটাল কনটেন্ট হতে পারে টেক্সট, পিকচার, ভিডিও, পিডিএফ, ডক্সস, ভয়েস ইত্যাদি। কোন কনটেন্ট যদি ডিজিটাল উপাত্ত আকারে প্রকাশিত হয় বা প্রেরিত হয় সেটি হচ্ছে ডিজিটাল কনটেন্ট। ডিজিটাল কনটেন্ট যে কেউ তৈরি করতে পারে। তবে ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি করতে হবে সুন্দর কোয়ালিটি এবং মানসম্মত।

ডিজিটাল কনটেন্ট এর গুরুত্ব সমূহ

Digital content is important

ডিজিটাল পৃথিবীতে ডিজিটাল কনটেন্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কেননা ডিজিটাল কনটেন্ট এর মাধ্যেমে যেকোন বিষয়ের তথ্য সহজেই এবং দ্রুততার সাথে তুলে ধরা যায়। বর্তমানে হাজারো সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম বিষয়টিকে একেবারেই সহজতর করেছেন। ডিজিটাল কন্টেন্ট ব্যবহার করে অনলাইনে বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করতে পারে এবং সেবা প্রদান করতে পারে। ডিজিটাল কন্টেন্টকে মাধ্যেম করে মানুষ কঠিন কাজগুলোও সহজে করতে পারছে। ডিজিটাল কনটেন্ট এর গুরুত্ব সমূহ তুলে ধরা হলো-

১। স্বচ্ছতা ও সাবলিলতা

ডিজিটাল কন্টেন্টের স্বচ্ছতা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে গন্য করা হয়। ডিজিটাল কন্টেন্টগুলো স্বচ্ছ হওয়ার জন্য লাইভ দেখা যায় এবং নিজের পছন্দ অনুযায়ী ক্যাটাগরি নির্বাচন করা যায়। 

২। গ্লোবাল বাজার

ডিজিটাল কন্টেন্ট বিশ্বের প্রায় সমস্ত দেশ প্রতিনিয়ত উৎপন্ন করছে বিভিন্ন ওয়েবসাইট, সোশ্যাল মিডিয়া কিংবা অন্য ডিজিটাল মাধ্যমে লেখালেখি কিংবা কিছু শেয়ার করে। ডিজিটাল কন্টেন্টের মাধ্যেমে সারা বিশ্বের মানুষ একে অন্যর সাথে সহজেই দ্রুততার সাথে এবং বিনামূল্যে কথা বলতে পারে। এছাড়াও যে কেউ নিজের পছন্দ মত যেকোন কন্টেন্ট দেখতে বা পড়তে পারে।

৩। সহজে অ্যাক্সেসযোগ্য

ডিজিটাল কন্টেন্ট এমন এক ধরনের কন্টেন্ট যা খুব সহজে যে কেই অ্যাক্সেস করতে পারে।  

ডিজিটাল কনটেন্ট কত প্রকার

Types of digital content

ডিজিটাল মাধ্যেমে প্রকাশ হয়ে থাকে যেকোন তথ্য, ছবি, শব্দ কিংবা ভিডিও এনিমেশন ডিজিটাল কনটেন্ট হিসেবে গণ্য করা হয়। ডিজিটাল কনটেন্ট-কে বিভিন্নভাবে শ্রেণীকরণ করা যেতে পারে। তবে, ডিজিটাল কন্টেন্ট-কে প্রধানত চারটি ভাগে ভাগ করা যায়। নিম্নে ডিজিটাল কন্টেন্টের প্রকারভেদ্গুলো ও সংক্ষিপ্ত বর্ণনা করা হলো-

১। লিখিত কনটেন্ট বা টেক্সট   

কোন কিছুর উপরে যা লেখা হয় সেটাই হলো লিখিত বা টেক্সট কনটেন্ট। সহজ ভাষায় বলা যায়, লিখিতভাবে যে কনটেন্টগুলো উপস্থাপন করা হয় সেটাকে টেক্সট কন্টেট বোঝায়। ডিজিটাল মাধ্যেমে প্রকাশিত লিখিত তথ্যের পরিমাণই একটু বেশিই হয়ে থাকে। সব ধরনের লিখিত বিষয়গুলো এই শ্রেণীর কন্টেন্টের মধ্যই পড়ে। এর মধ্য রয়েছে রচনা, ব্লগ পোস্ট, প্রডাক্ট বা সার্ভিসের তালিকা ও বর্ণনা, পণ্যের মূল্যায়ন, ই-বুক সংবাদপত্র, ইত্যাদি।

২। ছবি বা পিকচার কনটেন্ট    

যেসব কনটেন্ট ক্যামেরায় তোলা বা হাতে আঁকা কিংবা কম্পিউটার দিয়ে তৈরি সব ধরনের ছবি এই পিকচার শ্রেণীর কনটেন্ট এর মধ্যে পড়ে। এই কনটেন্ট এর মধ্যে রয়েছে ফটো, হাতে আঁকা ছবি, হাতে অঙ্কন ছবি, কার্টুন ফটো, ইনফো গ্রাফিক্স সহ সকল ছবি ইত্যাদি। 

৩। শব্দ বা অডিও কনটেন্ট 

মানুষের তার নিজের মুখে যে ভাষা প্রকাশ করে সেটিই হলো শব্দ বা অডিও কনটেন্ট। কোন কাজের উদ্দেশ্যে অডিও আকারে তৈরি করা হয় যা পরে প্রচার করা হয়। মূলত রেকর্ড করা অডিও ফাইল অডিও কনটেন্ট এর অন্তর্ভুক্ত। এই কনটেন্ট এর মধ্য শুধুমাত্র অডিও বা শব্দ কনটেন্ট থাকে। 

৪। ভিডিও ও এনিমেশন কনটেন্ট  

ক্যামেরা বা মোবাইল দিয়ে তোলা সকল ভিডিও বা লাইভ ভিডিও হলো ভিডিও কনটেন্ট। ভিডিও কনটেন্ট এর সাথে অডিও বা শব্দ যুক্ত থাকে। বর্তমানে সময়ে ডিজিটাল মাধ্যেম বিশেষ করে ফেসবুক, ইউটিউব কিংবা বিভিন্ন ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম গুলোতে অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বর্তমানে মোবাইল ফোনেও ভিডিও ক্যামেরার ব্যবস্থা থাকায় অতি সহজেই স্বল্প দৈর্ঘ্যের ভিডিও তৈরি করে আপলোড করা যায়, তাই ভিডিও কনটেন্টের পরিমাণ অনেক বাড়ছে। এছাড়াও বর্তমানে ইন্টারনেটে কোনো ঘটনার ভিডিও সরাসরি প্রচারিত করা যায় এটিকে বলা হয় ভিডিও স্ট্রিমিং বা সরাসরি সম্প্রচার। এমন কনটেন্টগুলোও ভিডিও কনটেন্টের আওতাভুক্ত।

ডিজিটাল কন্টেন্টের সুবিধা সমূহ

Advantages of digital content

ডিজিটাল মাধ্যেমগুলোতে ডিজিটাল কন্টেন্টের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। তাই ডিজিটাল কনটেন্ট নতুন প্রজন্মে নতুন প্রযুক্তি। ডিজিটাল কন্টেন্টের বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। নিম্নে ডিজিটাল কন্টেন্টের সুবিধা সমূহ তুলে ধরা হলো-

  • বিনামূল্যে প্রাপ্তিঃ ইন্টারনেটে অনেক ডিজিটাল কনটেন্ট রয়েছে যেগুলো কোন ধরনের টাকা-পয়সা ছাড়াই বিনামূল্য ব্যবহার করা যায়। 
  • সহজে অ্যাক্সেসযোগ্যঃ অনলাইনে যেকোন কনটেন্ট সহজে পাওয়া যায় এবং এটি যেকোন জায়গা থেকে অ্যাক্সেস করা যায়।
  • সৃজনশীলতাঃ  ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি করার জন্য সৃজনশীল হতে হয়। কেননা ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি করতে অনেক তথ্যর প্রয়োজন হয়।
  • সহজে সংরক্ষণ: ডিজিটাল কনটেন্ট নির্মাণের পর এগুলো সহজে অনলাইন স্টোরেজে সংরক্ষণ করা যায়।

ডিজিটাল কন্টেন্টের অসুবিধা সমূহ

Disadvantages of digital content

ডিজিটাল কন্টেন্টের যেমন সুবিধা রয়েছে তেমনই ডিজিটাল কন্টেন্টের অনেকগুলো অসুবিধা রয়েছে। নিম্নে ডিজিটাল কন্টেন্টের অসুবিধাগুলো তুলে ধরা হলো-

  • কপিরাইট সমস্যাঃ ডিজিটাল কন্টেন্টে অন্যতম প্রধান সমস্যা হচ্ছে কপিরাইট সমস্যা। কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কোন ডিজিটাল কন্টেন্ট তৈরি করার সময় অনুমতি না নিয়ে অনলাইনে প্রকাশ করলে সেটি কপিরাইট নিয়ম ভঙ্গ হতে পারে। তাই ডিজিটাল কন্টেন্ট নির্মাণের সময় কপিরাইট আইন সমন্ধে জেনে কাজ করবেন। 
  • গোপনীয়তাঃ ডিজিটাল কন্টেন্ট নির্মাণের কারণে অনেক সময়ে গোপনীয়তা লঙ্ঘন হতে পারে। এমন কি ডিজিটাল কন্টেন্ট নিয়ে অনেক সময় হয়রানীর সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • নিরাপত্তাঃ ডিজিটাল কন্টেন্ট অনেক সময় নিরাপত্তাহীন হতে পারে। বিশেষ করে হ্যাকাররা ডিজিটাল কন্টেন্ট চুরি করে অর্থ দাবি করতে পারে। সুতরাং আমাদের সকলের উচিত নিজেদের তথ্য সংরক্ষনের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর সমূহ

ডিজিটাল কনটেন্ট কি? ডিজিটাল কনটেন্ট এর গুরুত্ব এই বিষয়ে আপনার মনে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন থাকতে পারে এবং প্রশ্নগুলো উত্তর সমন্ধে জানার কৌতুহল সৃষ্টি হতে পারে। তবে চলুন জেনে নেই সেই সকল প্রশ্ন ও উত্তরগুলো। 

ডিজিটাল কনটেন্ট কাকে বলে?

ডিজিটাল উপায়ে কোন বিষয়ের উপর তথ্য তুলে ধরার অন্যতম মাধ্যম বা প্রক্রিয়কে ডিজিটাল কনটেন্ট বলে। ডিজিটাল কন্টেন্ট সেটা হতে পারে কোন টেক্সট কনটেন্ট, ইমেজ বা পিকচার কনটেন্ট, ভিডিও কনটেন্ট, পিপিটি কনটেন্ট অথবা ডকস ফাইল ইত্যাদি।

ডিজিটাল কন্টেন্ট কত প্রকার ও কি কি? 

ডিজিটাল কন্টেন্ট মূলত চার প্রকার সেগুলো হলোঃ টেক্সট, পিকচার, অডিও এবং ভিডিও। 

উপসংহার 

উপরোক্ত আলোচনা থেকে আমরা ডিজিটাল কনটেন্ট কি? ডিজিটাল কনটেন্ট এর গুরুত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত জানলাম। বর্তমানে ডিজিটাল মাধ্যমে ডিজিটাল কন্টেন্ট খুবই জনপ্রিয় হয়েছে। আজকের এই পোস্টে আমি আপনাদের সাথে ডিজিটাল কন্টেন্ট  এই সমন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এছাড়াও আপনার জ্ঞানকে প্রসারিত করতে কনটেন্ট মার্কেটিং কি? কন্টেন্ট মার্কেটিং এর গুরুত্ব সম্পর্কিত আর্টিকেলটি পড়ুন। 

“ডিজিটাল কনটেন্ট কি? ডিজিটাল কনটেন্ট এর গুরুত্ব” এই বিষয়ে আপনার যদি কিছু জানার থাকে তাহলে আপনি এই পোস্টের নিচে আপনার মূল্যবান মন্তব্য করতে পারেন। এছাড়াও এই পোস্ট-টি তথ্যবহুল মনে হলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। ধন্যবাদ।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *