অফ পেজ এসইও তে কি কি করতে হয়?
অফ পেজ এসইও তে কি কি করতে হয় এই বিষয় সম্পর্কে জেনে যে কোন ওয়েবসাইটের অফ পেজ এসইও করা সম্ভব। অফ পেজ এসইও (SEO) হলো আপনার ওয়েবসাইটের সার্চ ইঞ্জিন র্যাংকিং উন্নত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়। অন-পেজ এসইও আপনার ওয়েবসাইটের ভিতরে যা করা হয় তা নিয়ে কাজ করে, তবে অফ পেজ এসইও হলো আপনার ওয়েবসাইটের বাইরে যা করা হয়। এটি আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিবিলিটি বাড়ায় এবং অর্গানিক ট্রাফিক বৃদ্ধি করে।
অফ পেজ এসইওতে ব্যাকলিংকিং, সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ারিং এবং অন্যান্য কৌশলগুলির ব্যবহার হয় যা আপনার ওয়েবসাইটের প্রতি অন্যান্য ওয়েবসাইটের আকর্ষণ বাড়ায়। এই ব্লগ পোস্টে আমরা অফ পেজ এসইও তে কি কি করতে হয় এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।
অফ পেজ এসইও কি?
অফ পেজ এসইও হলো এমন কার্যক্রম যা আপনার ওয়েবসাইটের বাইরে থেকে করা হয় এবং এটি আপনার ওয়েবসাইটের সার্চ ইঞ্জিনে র্যাংকিং উন্নত করে। গুগল, বিং এবং ইয়াহু মত সার্চ ইঞ্জিনগুলি নির্ধারণ করে কোন ওয়েবসাইটগুলিকে প্রথমে দেখানো উচিত। অফ পেজ এসইওর মাধ্যমে আপনি সার্চ ইঞ্জিনের কাছে আপনার ওয়েবসাইটের মূল্য এবং প্রাসঙ্গিকতা প্রদর্শন করতে পারেন। এর প্রধান লক্ষ্য হলো ব্যাকলিংক তৈরি করা, যা আপনার ওয়েবসাইটের প্রতি অন্য ওয়েবসাইটের লিংক। ব্যাকলিংক যত বেশি, সার্চ ইঞ্জিনে আপনার ওয়েবসাইটের র্যাংকিং ততই ভালো হয়।
অফ পেজ এসইও তে কি কি করতে হয়?

অফ পেজ এসইওতে বিভিন্ন কার্যক্রম করতে হয় যা আপনার ওয়েবসাইটের সার্চ ইঞ্জিন র্যাংকিং উন্নত করে এবং ট্রাফিক বৃদ্ধি করে। গেস্ট পোস্টিং থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ারিং পর্যন্ত, বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করে আপনি সহজেই ব্যাকলিংক পেতে পারেন। নিম্নে অফ পেজ এসইও তে কি কি করতে হয় এ সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হল-
১। গেস্ট পোস্টিং
গেস্ট পোস্টিং হলো অন্যের ব্লগে আপনার লেখা পোস্ট করা। আপনি অন্য ওয়েবসাইটের মালিকের সাথে যোগাযোগ করে তাদের ব্লগে একটি পোস্ট লিখতে পারেন। এতে আপনার ওয়েবসাইটের লিংক যোগ করা হয়। গেস্ট পোস্টিং আপনাকে নতুন অডিয়েন্সের কাছে পৌঁছাতে সাহায্য করে এবং আপনার ওয়েবসাইটের ট্রাফিক বাড়ায়। এটি আপনার ব্র্যান্ডের বিশ্বাসযোগ্যতা এবং প্রভাবও বাড়ায়। আপনি যদি ভালো মানের এবং তথ্যবহুল পোস্ট লিখতে পারেন, তবে এটি আপনাকে দ্রুত ব্যাকলিংক পেতে সাহায্য করবে। এছাড়াও, গেস্ট পোস্টিং আপনার ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে নেটওয়ার্কিংয়ের সুযোগ বাড়ায় এবং পেশাদার সম্পর্ক গড়ে তুলতে সহায়তা করে।
২। ইনফোগ্রাফিক্স ব্যাকলিংক
ইনফোগ্রাফিক্স হলো চিত্রের মাধ্যমে তথ্য উপস্থাপন করা। এটি শেয়ার করা সহজ এবং দ্রুত ব্যাকলিংক পাওয়ার একটি জনপ্রিয় পদ্ধতি। আপনি একটি আকর্ষণীয় এবং তথ্যবহুল ইনফোগ্রাফিক্স তৈরি করে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন। ইনফোগ্রাফিক্স শেয়ার করার মাধ্যমে আপনি ব্যাকলিংক পেতে পারেন যা আপনার ওয়েবসাইটের র্যাংকিং উন্নত করবে। ইনফোগ্রাফিক্সগুলি সাধারণত ভিজ্যুয়াল এবং তথ্যবহুল হওয়ার কারণে দ্রুত শেয়ার হয় এবং এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটের লিংক ছড়িয়ে পড়ে। ইনফোগ্রাফিক্স তৈরি করার সময় তথ্যের সঠিকতা এবং ডিজাইনের মানের প্রতি বিশেষ নজর দিন যাতে এটি আপনার টার্গেট অডিয়েন্সের কাছে আকর্ষণীয় হয়।
৩। মাল্টিমিডিয়া/ডকুমেন্ট থেকে ব্যাকলিংক
মাল্টিমিডিয়া বা ডকুমেন্ট শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মে আপনার কন্টেন্ট আপলোড করে ব্যাকলিংক পাওয়া যায়। উদাহরণস্বরূপ, স্লাইডশেয়ার, স্ক্রিবড ইত্যাদি সাইটে আপনি আপনার প্রেজেন্টেশন, ডকুমেন্ট বা পিডিএফ আপলোড করে লিংক পেতে পারেন। এই ব্যাকলিংকগুলি আপনার ওয়েবসাইটের র্যাংকিং উন্নত করতে সহায়তা করবে। আপনি যদি ভালো মানের প্রেজেন্টেশন বা ডকুমেন্ট তৈরি করতে পারেন, তবে তা শেয়ার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি এবং আপনি সহজেই ব্যাকলিংক পেতে পারেন। মাল্টিমিডিয়া কন্টেন্ট যেমন ভিডিও, অডিও বা পডকাস্টও ভালো ব্যাকলিংক তৈরি করতে পারে। এ ধরনের কন্টেন্টগুলি প্রায়ই ওয়েবসাইটের ভিজিটরদের কাছে আকর্ষণীয় হয় এবং শেয়ার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
৪। প্রেস রিলিজ ব্যাকলিংক
প্রেস রিলিজের মাধ্যমে আপনি আপনার ব্যবসার খবর শেয়ার করতে পারেন। একটি প্রেস রিলিজ লিখে এবং বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে পাঠিয়ে আপনি ব্যাকলিংক পেতে পারেন। যখন সংবাদমাধ্যমগুলি আপনার প্রেস রিলিজ প্রকাশ করে, তখন তারা আপনার ওয়েবসাইটের লিংক অন্তর্ভুক্ত করে। এটি আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিবিলিটি বাড়ায় এবং ট্রাফিক বৃদ্ধি করে। প্রেস রিলিজে সাধারণত আপনার কোম্পানির নতুন পণ্য, সেবা, ইভেন্ট বা যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উল্লেখ করা হয়, যা সংবাদমাধ্যমগুলি তাদের নিউজ সেকশনে প্রকাশ করে। প্রেস রিলিজের মাধ্যমে আপনার ব্যবসার উপর জনসাধারণের নজর কেড়ে নেয়া সহজ হয় এবং এটি আপনার ব্র্যান্ডের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ায়।
৫। পিডিএফ থেকে ব্যাকলিংক
আপনার কন্টেন্ট পিডিএফ ফরম্যাটে তৈরি করে বিভিন্ন পিডিএফ শেয়ারিং সাইটে আপলোড করলে ব্যাকলিংক পাওয়া যায়। পিডিএফ শেয়ারিং সাইটগুলিতে আপনি আপনার পিডিএফ আপলোড করে সেখান থেকে লিংক পেতে পারেন। এটি আপনার ওয়েবসাইটের র্যাংকিং উন্নত করতে সহায়তা করবে। পিডিএফ ফাইলগুলি সাধারণত তথ্যবহুল এবং প্রাসঙ্গিক হওয়ার কারণে লোকেরা সেগুলি ডাউনলোড করে এবং শেয়ার করে, যা আপনাকে ব্যাকলিংক পেতে সাহায্য করে। পিডিএফ ফাইলগুলিতে সাধারণত তথ্যবহুল এবং প্রাসঙ্গিক কন্টেন্ট থাকা উচিত যাতে এটি পাঠকদের কাছে আকর্ষণীয় হয়।
৬। ইবুক ডিরেক্টরি ব্যাকলিংক
ইবুক ডিরেক্টরিতে আপনার ইবুক শেয়ার করলে সেখান থেকেও ব্যাকলিংক পাওয়া যায়। আপনি আপনার ইবুক তৈরি করে বিভিন্ন ইবুক ডিরেক্টরিতে শেয়ার করতে পারেন। এটি আপনার ওয়েবসাইটের জন্য ব্যাকলিংক তৈরি করে এবং ট্রাফিক বৃদ্ধি করে। ইবুক ডিরেক্টরিতে সাধারণত বিভিন্ন ধরনের ইবুক পাওয়া যায়, যা পাঠকরা ডাউনলোড করে পড়তে পারেন। আপনি যদি আপনার ইবুকের মধ্যে আপনার ওয়েবসাইটের লিংক অন্তর্ভুক্ত করেন, তবে পাঠকরা সহজেই আপনার ওয়েবসাইটে আসতে পারেন। ইবুকগুলি সাধারণত গভীর এবং তথ্যবহুল কন্টেন্ট হিসেবে তৈরি করা হয় যা পাঠকদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারে এবং তারা সেগুলি শেয়ার করতে আগ্রহী হয়।
৭। RSS ডিরেক্টরি ব্যাকলিংক
RSS ফিড সাবমিট করলে আপনার ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিটর পাওয়া যায় এবং ব্যাকলিংক তৈরি হয়। আপনি আপনার ওয়েবসাইটের RSS ফিড বিভিন্ন ডিরেক্টরিতে সাবমিট করতে পারেন। এটি আপনার কন্টেন্টকে আরো বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাতে সহায়তা করে এবং আপনার ওয়েবসাইটের ট্রাফিক বৃদ্ধি করে। RSS ফিডের মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটের আপডেটগুলো দ্রুত এবং সহজে পাঠকদের কাছে পৌঁছে যায়। আপনি যদি নিয়মিতভাবে নতুন কন্টেন্ট প্রকাশ করেন, তবে RSS ফিড আপনার নিয়মিত পাঠকদের সংখ্যা বাড়াতে পারে এবং তাদেরকে আপনার ওয়েবসাইটে ফিরে আসার জন্য উৎসাহিত করতে পারে।
৮। আর্টিকেল ডিরেক্টরি ব্যাকলিংক
বিভিন্ন আর্টিকেল ডিরেক্টরিতে আপনার লেখা শেয়ার করে ব্যাকলিংক পেতে পারেন। আপনি আপনার লেখা আর্টিকেল বিভিন্ন ডিরেক্টরিতে সাবমিট করতে পারেন। এতে আপনার ওয়েবসাইটের ব্যাকলিংক তৈরি হয় এবং আপনার কন্টেন্ট আরো বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে যায়। আর্টিকেল ডিরেক্টরিগুলিতে সাধারণত বিভিন্ন ধরনের বিষয়বস্তুর আর্টিকেল পাওয়া যায়, যা পাঠকরা পড়ে এবং শেয়ার করে। এটি আপনার ওয়েবসাইটের ট্রাফিক বাড়াতে সাহায্য করে। আর্টিকেল ডিরেক্টরিগুলিতে আপনার লেখা শেয়ার করার সময়, তথ্যবহুল এবং আকর্ষণীয় বিষয়বস্তু তৈরি করার চেষ্টা করুন যাতে পাঠকরা আপনার লেখা পড়তে এবং শেয়ার করতে আগ্রহী হয়।
৯। ওয়েব ২.০ ব্যাকলিংক
ওয়েব ২.০ প্ল্যাটফর্ম যেমন ওয়ার্ডপ্রেস, ব্লগার, উইক্স ইত্যাদিতে আপনার ব্লগ তৈরি করে ব্যাকলিংক পাওয়া যায়। আপনি এসব প্ল্যাটফর্মে একটি ব্লগ তৈরি করে এবং সেখানে আপনার কন্টেন্ট শেয়ার করে ব্যাকলিংক পেতে পারেন। এটি আপনার ওয়েবসাইটের ট্রাফিক বৃদ্ধি করে এবং সার্চ ইঞ্জিনে র্যাংকিং উন্নত করে। ওয়েব ২.০ প্ল্যাটফর্মগুলিতে আপনার কন্টেন্ট শেয়ার করলে আপনি সহজেই ব্যাকলিংক পেতে পারেন এবং আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিবিলিটি বাড়াতে পারেন। ওয়েব ২.০ প্ল্যাটফর্মে ব্লগ তৈরি করার সময়, আকর্ষণীয় এবং মানসম্মত কন্টেন্ট তৈরি করুন যা আপনার টার্গেট অডিয়েন্সের কাছে প্রাসঙ্গিক এবং তথ্যবহুল হবে।
১০। প্রোফাইল ব্যাকলিংক
বিভিন্ন ওয়েবসাইটে প্রোফাইল তৈরি করে সেখান থেকে আপনার ওয়েবসাইটে লিংক যোগ করতে পারেন। আপনি বিভিন্ন সাইটে আপনার প্রোফাইল তৈরি করে এবং সেখানে আপনার ওয়েবসাইটের লিংক যোগ করে ব্যাকলিংক পেতে পারেন। এটি আপনার ওয়েবসাইটের র্যাংকিং উন্নত করতে সহায়তা করবে। প্রোফাইল ব্যাকলিংক সাধারণত সহজে পাওয়া যায় এবং এটি আপনার ওয়েবসাইটের ট্রাফিক বাড়াতে সাহায্য করে। প্রোফাইল তৈরি করার সময়, আপনার ব্যবসার তথ্য এবং ওয়েবসাইটের লিংক সঠিকভাবে যোগ করুন যাতে ভিজিটররা সহজেই আপনার ওয়েবসাইটে যেতে পারে।
১১। সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ারিং
সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনার কন্টেন্ট শেয়ার করলে ব্যাকলিংক এবং ট্রাফিক দুইই বৃদ্ধি পায়। আপনি ফেসবুক, টুইটার, লিংকডইন, ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদিতে আপনার কন্টেন্ট শেয়ার করে আপনার ওয়েবসাইটের ট্রাফিক বাড়াতে পারেন। এটি আপনার ব্র্যান্ডের ভিজিবিলিটি এবং প্রভাবও বাড়ায়। সোশ্যাল মিডিয়াতে আপনার কন্টেন্ট শেয়ার করলে আপনার ওয়েবসাইটে নতুন ভিজিটর আসতে পারে এবং এটি আপনার ওয়েবসাইটের র্যাংকিং উন্নত করতে সাহায্য করে। সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনার কন্টেন্ট শেয়ার করার সময়, আকর্ষণীয় শিরোনাম এবং চিত্র ব্যবহার করুন যাতে আপনার পোস্টগুলি বেশি মানুষের কাছে পৌঁছায় এবং শেয়ার করা হয়।
১২। ব্রোকেন লিংক বিল্ডিং
ভাঙ্গা লিংক খুঁজে সেগুলির পরিবর্তে আপনার লিংক প্রস্তাব করা একটি কার্যকর পদ্ধতি। আপনি বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ভাঙ্গা লিংক খুঁজে বের করে এবং তাদের মালিকের সাথে যোগাযোগ করে আপনার লিংক যোগ করার প্রস্তাব করতে পারেন। এটি ব্যাকলিংক তৈরি করার একটি কার্যকর উপায়। ব্রোকেন লিংক বিল্ডিং এর মাধ্যমে আপনি সহজেই ব্যাকলিংক পেতে পারেন এবং এটি আপনার ওয়েবসাইটের র্যাংকিং উন্নত করতে সহায়তা করে। ব্রোকেন লিংক বিল্ডিং এর মাধ্যমে আপনি ওয়েবমাস্টারদের সাহায্য করতে পারেন তাদের সাইটের ভাঙ্গা লিংকগুলি ঠিক করতে, যা তাদের সাইটের ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা উন্নত করে।
১৩। কমিউনিটি ব্যাকলিংক
কমিউনিটি ব্যাকলিংক বিভিন্ন ফোরাম, ব্লগ কমেন্টিং, এবং প্রশ্ন-উত্তর সাইটে অংশগ্রহণের মাধ্যমে পাওয়া যায়। আপনি বিভিন্ন ফোরামে অংশগ্রহণ করে এবং সেখান থেকে আপনার ওয়েবসাইটের লিংক যোগ করে ব্যাকলিংক পেতে পারেন। এছাড়া, ব্লগ কমেন্টিং এবং প্রশ্ন-উত্তর সাইটে আপনার কন্টেন্ট শেয়ার করে আপনি ব্যাকলিংক পেতে পারেন। কমিউনিটি ব্যাকলিংক সাধারণত সহজে পাওয়া যায় এবং এটি আপনার ওয়েবসাইটের ট্রাফিক বাড়াতে সাহায্য করে। কমিউনিটি ব্যাকলিংক পেতে হলে, আপনাকে সক্রিয়ভাবে বিভিন্ন কমিউনিটি প্ল্যাটফর্মে অংশগ্রহণ করতে হবে এবং সেখানকার সদস্যদের সহায়তা করতে হবে।
১৪। ভিডিও/ওয়েবিনার ব্যাকলিংক
ভিডিও বা ওয়েবিনার তৈরি করে ইউটিউব বা অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করলে ব্যাকলিংক তৈরি হয়। আপনি একটি ভিডিও তৈরি করে এবং ইউটিউবে আপলোড করে সেখান থেকে আপনার ওয়েবসাইটের লিংক পেতে পারেন। এটি আপনার ওয়েবসাইটের র্যাংকিং উন্নত করতে সহায়ক। ভিডিও কন্টেন্ট সাধারণত দ্রুত ভাইরাল হয় এবং এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটের লিংক ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিও তৈরি করার সময়, আপনার কন্টেন্টটি আকর্ষণীয় এবং তথ্যবহুল হওয়া উচিত যাতে দর্শকরা এটি শেয়ার করতে আগ্রহী হয়। ভিডিওগুলি প্রায়ই সামাজিক মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিতে সহজেই শেয়ার করা যায়, যা আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর সংখ্যা বাড়াতে সহায়তা করে।
বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর সমূহ
“অফ পেজ এসইও তে কি কি করতে হয়?” এই বিষয়ে আপনার মনে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে? তাহলে চলুন জেনে নেই সেই সকল প্রশ্ন ও উত্তরগুলো-
অফ পেজ এসইও কেন গুরুত্বপূর্ণ?
অফ পেজ এসইও আপনার ওয়েবসাইটের সার্চ ইঞ্জিন র্যাংকিং উন্নত করে এবং অর্গানিক ট্রাফিক বৃদ্ধি করে, যা আপনার ব্যবসার ভিজিবিলিটি বাড়াতে সাহায্য করে।
অফ পেজ এসইওতে সবচেয়ে কার্যকর কৌশল কোনটি?
ব্যাকলিংকিং সবচেয়ে কার্যকর কৌশল, কারণ এটি সার্চ ইঞ্জিনে আপনার ওয়েবসাইটের প্রাসঙ্গিকতা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে সাহায্য করে।
উপসংহার
উপরোক্ত আলোচনা থেকে আমরা অফ পেজ এসইও তে কি কি করতে হয় এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানলাম। অফ পেজ এসইও আপনার ওয়েবসাইটের সার্চ ইঞ্জিন র্যাংকিং বাড়ানোর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উপরে উল্লেখিত পদ্ধতিগুলি অনুসরণ করে আপনি সহজেই ব্যাকলিংক তৈরি করতে পারেন এবং আপনার ওয়েবসাইটের ট্রাফিক বৃদ্ধি করতে পারেন। নিয়মিতভাবে এই কার্যক্রমগুলি চালিয়ে গেলে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের জন্য ভালো ফলাফল পাবেন।
আপনার ওয়েবসাইটের ট্রাফিক এবং র্যাংকিং বাড়ানোর জন্য অফ পেজ এসইওর বিভিন্ন কৌশলগুলি ব্যবহার করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আপনার ওয়েবসাইটের সার্চ ইঞ্জিন র্যাংকিং উন্নত করার জন্য এখনই অফ পেজ এসইও কার্যক্রম শুরু করুন এবং এর ফলাফল উপভোগ করুন। এছাড়াও আপনার জ্ঞানকে প্রসারিত করার জন্য অন পেজ এসইও তে কি কি করতে হয় সম্পর্কিত আর্টিকেলটি পড়ুন।
“অফ পেজ এসইও তে কি কি করতে হয়?” সম্পর্কিত কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই নিচে কমেন্ট করবেন। আর এমন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো বিনামূল্যে জানতে আমাদের সাথে থাকবেন। ধন্যবাদ, ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।