How To Do Keyword Research

কিওয়ার্ড কি? কিওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে করতে হয়?

আমরা যারা ব্লগিং শুরু করতে চাচ্ছি বা করেছি কমবেশি কি-ওয়ার্ড নামটি শুনেছি। যারা কি-ওয়ার্ড সম্পর্কে জানেন না তাদের উদ্দেশ্যেই মূলত এই পোস্টটি লিখা। আজকের এই পোস্টে কিওয়ার্ড কি?এবং কিওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে করতে হয়? এ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করবো।

সাধারণ লেখা ও ব্লগিং এর মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। দুটি বিষয় এক নয়। আপনি মনের মাধুরী মিশিয়ে সাহিত্য লিখতে পারেন কিন্তু ব্লগিং করতে হলে অবশ্যই এসইও ফ্রেন্ডলি কিওয়ার্ড রিসার্চ করে লেখা লিখতে হবে। তাই আসুন আমরা প্রথমেই জেনে নেই কি-ওয়ার্ড কি?

কিওয়ার্ড কি?

সহজ ভাষায় বলতে গেলে, কি-ওয়ার্ড হল সার্চ কুয়েরি (Search Quary) । আমরা আমাদের প্রয়োজনে সার্চ ইঞ্জিনে (Google, Yahoo, Bing) যে এক বা একাধিক ওয়ার্ড লিখে সার্চ দেয় এই ওয়ার্ডগুলি হল কি-ওয়ার্ড। যেমনঃ Mobile Phone.

কিওয়ার্ড কাকে বলে?

ইন্টারনেট ব্যবহারকারীগণ নিজেদের প্রয়োজনে গুগোল কিংবা অন্য কোন সার্চ ইঞ্জিনে এক বা একাধিক ওয়ার্ড দিয়ে যে সার্চ করে সেটি হলো কি-ওয়ার্ড।

মোবাইল ফোন সম্পর্কে জানতে চাইলে হয়তোবা গুগলে অন্য কোন সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ দিয়েছি “Mobile Phone” লিখে। তখন সার্চ ইঞ্জিন আমাকে অনেক গুলু সার্চ রেজাল্ট দেখিয়েছে।

এখানে “Mobile Phone” হল হলো কি-ওয়ার্ড। একেবারে সহজ বাংলায়, ব্যবহারকারী সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ দেওয়ার জন্য যে শব্দ বা শব্দসমষ্টি ব্যবহার করে তাই হল কি-ওয়ার্ড।

কিওয়ার্ড কত প্রকার ও কি কি?

What are the types of keywords

কিওয়ার্ড অনেক রকম হলেও এটি প্রধানত দুই প্রকার। একটি হলো Short Tail Keyword (ছোট কি-ওয়ার্ড ) এবং অপরটি হলো Long Tail Keyword (বড় কি-ওয়ার্ড)।

  • Short Tail Keyword (ছোট কিওয়ার্ড ): ৩ বা তিনের কম শব্দের কি-ওয়ার্ড গুলোকে বলা হয় থাকে Short Tail Keyword (ছোট কি-ওয়ার্ড )। যেমনঃ Mobile Phone। এই কি-ওয়ার্ড গুলোর Search Volume হয় অনেক আবার প্রতিযোগিতা থাকে প্রচুর। অর্থাৎ Search Volume অনেক এবং Competition অনেক। এই কি-ওয়ার্ডগুলো সার্চ ইঞ্জিনে রাঙ্ক করা খুবই কঠিন।
  • Long Tail Keyword (বড় কিওয়ার্ড): তিন শব্দের অধিক কি-ওয়ার্ড গুলোকে বলা হয় Long Tail Keyword (বড় কি-ওয়ার্ড)। যেমনঃ Best Samsung Mobile Phone। এই কি-ওয়ার্ড গুলোর Search Volume হয় কম আবার প্রতিযোগিতা থাকে কম। অর্থাৎ Search Volume কম এবং Competition কম। এই কিওয়ার্ডগুলো সার্চ ইঞ্জিনে রাঙ্ক করা অনেকটা সহজ হয়।

কিওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে করতে হয়?

How to do keyword research

আমরা সঠিক কিওয়ার্ড খুঁজে বের করার জন্য তাড়াহুড়া না করে ধীরে আস্তে কাজ করব। মনে রাখতে হবে যে, একটি কিওয়ার্ড রিসার্চ করে যখন একটি পোস্ট লিখবেন পোস্টটি হয়তোবা আজকে লিখছেন কিন্তু পোস্টটি আপনার ওয়েবসাইটে থাকবে আজীবন। সুতরাং ভালো কিওয়ার্ড রিসার্চের মাধ্যমে এই পোস্টে আমরা সার্চ ইঞ্জিন থেকে আজীবন ভিজিটর পেতে পারি। নিচে কিওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে করতে হয় এ সম্পর্কে তথ্য তুলে ধরা হল-

১। ফ্রি টুলসের ব্যবহার

সঠিক ফোকাস কিওয়ার্ড খুঁজে বের করার জন্য আমরা বেশ কিছু ফ্রি টুলের সহযোগিতা গ্রহণ করবো যাতে আমাদের কাজটি সহজ হয়। আমরা প্রথমে টুলসের সাথে পরিচিত হয়।

২। ফোকাস কিওয়ার্ড খুঁজে বের করার পক্রিয়া

কি-ওয়ার্ড রিসার্চের শুরুতেই আমরা উপরের ছবির মতো করে Microsoft Excel অথবা Google Sheet ব্যবহার করে তৈরি করে নেব।

উপরোক্ত ছবিতে ফোকাস কিওয়ার্ড খুঁজে বের করার পক্রিয়ায় শুরুতেই আমরা বেশ কিছু শব্দ ব্যবহার করেছি যেগুলোর নাম অনেকেই পূর্বে শুনেছেন বা শোনেননি। আমরা যারা জানিনা তাদের জন্য এই শব্দ ও কাজ গুলো নিচে ব্যাখ্যা করছি।

কিওয়ার্ড (Keyword)

ব্যবহারকারী সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ দেওয়ার জন্য যে শব্দ বা শব্দসমষ্টি ব্যবহার করে তাই হল কি-ওয়ার্ড

Monthly Search Volume (মাসিক সার্চ ভলিউম)

Monthly Search Volume কে ছোট করে MSV ও বলা হয়। এটি হলো এমন একটি সংখ্যা যার দ্বারা বুঝায় ব্যবহারকারীগণ সার্চ ইঞ্জিনে এই কী-ওয়ার্ড দিয়ে মাসে কত পরিমাণে সার্চ করে। এই তথ্যটি আমাদেরকে Ahrefs কিওয়ার্ড রিসার্চ টুল সরবরাহ করে।

উপরোক্ত ছবিতে আমরা দেখতে পাচ্ছি কিছু কি-ওয়ার্ডের মাসিক Search Volume ৬০০, ২৫০, ১০০। আমরা মাসিক Search Volume গুলো Microsoft Excel/Google Sheet এ তালিকাবদ্ধ করবো।

Domain Athority (ডোমেইন অথরিটি)

Domain Athority ছোট আকারে DA বলা হয়। ডোমেইন অথরিটি হলো ওয়েবসাইটের পাওয়ার বা শক্তি। আমরা ডোমেইন অথরিটি দেখে বুঝতে পারি যে, ওয়েবসাইটি আসলে কতটা শক্তিশালী। আমরা এই ওয়েবসাইটের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পেরে উঠতে পারব কি পারব না। যদি সাইটের Domain Athority কম হয় তাহলে সেটি আমাদের জন্য ভাল। আর যদি সাইটের ডোমেইন অথরিটি বেশি হয় আমাদের জন্য ভালো নয়। এই তথ্যটি আমাদেরকে সরবরাহ করবে Keyword Everywhere গুগল ক্রোম এক্সটেনশন।

উপরোক্ত ছবিতে আমরা দেখতে পাচ্ছি একটি ওয়েবসাইটের DA ৯৩ এবং অন্যটি ১৮। যে সকল সাইটের Doamin Authority (DA) ২০ (বিশ) এর কম তাদেরকে আমরা দুর্বল মনে করি। এই জন্য সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেজে Doamin Authority (DA) ২০ এর কম এমন সাইট গুনে আমরা তা Microsoft Excel/ Google Sheet এ তালিকাবদ্ধ করবো।

All In Title (অল ইন টাইটেল)

All In Title দ্বারা বুঝায় এই কিওয়ার্ডটি কতটি পোষ্টের হেডলাইন\টাইটেল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। উল্লেখ্য, যদি এই কী-ওয়ার্ড দিয়ে অন্যান্য ওয়েবসাইটের পোস্টের হেডলাইন কম হয় সেটি আমাদের জন্য ভাল। আর বেশি হলে আমাদের জন্য ভালো নয়। এই তথ্যটি আমরা সার্চ ইঞ্জিনে কীওয়ার্ডের সাথে allintitle: (allintitle:keyword) যোগ করার মাদ্ধমে পেতে পারি। যেমনঃ allintitle:samsung mobile phone price in america

উপরোক্ত ছবিতে আমরা দেখতে পাচ্ছি All In Title ১ (এক)। আমরা প্রতিটি কি-ওয়ার্ডের All In Title বের করে তা Microsoft Excel/ Google Sheet এ তালিকাবদ্ধ করবো।

Social Site (সোশ্যাল সাইট)

Social Site বলতে আমরা বুঝি কিছু সামাজিক মিডিয়া ওয়েবসাইট। যেমনঃ Facebook, Twitter, Linkedin, Instagram এবং অন্যান্য সামাজিক মিডিয়া ওয়েবসাইট। সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেজে যদি সোশ্যাল সাইট সংখ্যা বেশি হয় এটি আমাদের জন্য ভাল। কেননা সোস্যাল সাইটগুলোতে শুধুমাত্র পোস্ট করা হয় কিন্তু SEO করা হয় না। তাই আমাদের সাইটে SEO করা থাকলে অবশ্যই সেটি অগ্রাধিকার পাবে।

উপরোক্ত ছবিতে আমরা দেখতে পাচ্ছি Social Site সংখ্যা ১ (এক)। সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেজে Social Site সংখ্যা গুনে আমরা তা Microsoft Excel/ Google Sheet এ তালিকাবদ্ধ করবো।

Comment (কমেন্ট)

Comment এর বাংলা অর্থ হল মন্তব্য করা। সমস্ত কাজ শেষে আমরা কোন কি-ওয়ার্ডটি কে ভালো বলবো বা বেছে নিবো এটি হলো কিওয়ার্ড রিসার্চের কমেন্ট বা মন্তব্য।

৩। ফোকাস কি-ওয়ার্ড বের করার সর্বশেষ রিপোর্ট

উপরোক্ত ছবিতে আমরা দেখতে পাচ্ছি, চারটি কি-ওয়ার্ডের তথ্য-উপাত্ত দিয়ে টেবিল সাজানো হয়েছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি “Samsung mobile phone price in Bangladesh” এর মাসিক সার্চ ভলিউম ১৫০ যেটা একেবারে বেশিও নয় আবার কমও নয়। DA বিশের কম আছে ৩ টি এইটাও ভালো আমাদের জন্য, কেননা যত DA বিশের কম সাইট সংখ্যা হবে ততো আমাদের জন্য ভালো। All In Title ও খুব বেশি নয় ৮ এটাও আমাদের জন্য ভালো। Social Site কোনো কি-ওয়ার্ডে নাই। সব মিলিয়ে আমরা “Samsung mobile phone price in Bangladesh” কে ৪ টি কি-ওয়ার্ডর ভিতর সেরা মনে করছি।

আমি এখানে চারটি কি-ওয়ার্ড টেবিলে তথ্য ও উপাত্ত দিয়ে সাজিয়ে দেখালাম। কিন্তু সব থেকে ভালো হলো বেশি কি-ওয়ার্ডের ভেতর থেকে একটি সেরা কিওয়ার্ড বেছে নেওয়া। তাহলে সঠিক কি-ওয়ার্ড টা নির্ণয় করা যায়।

যদিও বিষয়টি সময়সাপেক্ষ তবুও এটি অত্যন্ত কার্যকরী। মনে রাখতে হবে যে, সঠিক কিওয়ার্ড খুঁজে এসইও মেনে একটি আর্টিকেল লিখলে গুগল বা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন থেকে পোস্টে আজীবন ভিজিটর পাওয়া সম্ভব।

বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর সমূহ

কিওয়ার্ড কি? কিওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে করতে হয়? এই বিষয় নিয়ে আপনার মনে বেশ কিছু প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে? তবে চলুন জেনে নেই সেই সমস্ত সকল প্রশ্নের উত্তর-

সেরা ফ্রি কিওয়ার্ড রিসার্চ টুল কোনটি?

কিওয়ার্ড রিসার্চ কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?

কিওয়ার্ড রিসার্চ সাধারণত বুঝতে সহযোগিতা করে যে, নির্দিষ্ট কিওয়ার্ড সার্চ ইঞ্জিনে প্রতি মাসে কি পরিমাণে সার্চ হয় এবং প্রতিযোগীদের বর্তমান অবস্থা কেমন। সর্বোপরি নিজে এই কিওয়ার্ডে কততম অবস্থানে থাকতে পারি তার সম্ভাবনাও স্পষ্ট করে। তাই কিওয়ার্ড রিসার্চ ব্লগিংয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

উপসংহার

ফোকাস কিওয়ার্ড খুঁজে বের করে SEO মেনে পোস্ট লিখা ব্লগিংয়ের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কেননা গুগোল কিওয়ার্ড রিসার্চ করে SEO নিয়ম মেনে চলা পোস্টগুলোকে সার্চ ইঞ্জিনে রাঙ্ক পেয়ে দিতে সাহায্য করে। এর মাধ্যমে আমরা গুগল বা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন থেকে পোস্টে প্রচুর পরিমাণ অর্গানিক ভিজিটর পেতে পারি।

“কিওয়ার্ড কি? কিওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে করতে হয়?” এ বিষয়ে যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্ট করুন অথবা লাইভ চ্যাটে (Live Chat) জিজ্ঞেস করুন। পোস্টটি গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যবহুল মনে হলে বন্ধুদের শেয়ার করতে ভুলবেন না। পোস্টটি সম্পন্ন পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমরা আপনার সুস্বাস্থ্য এবং দীর্ঘায়ু কামনা করছি।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *